পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আল আমিন হাওলাদার আতঙ্কিত নয়। বরং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিয়ে চরম বিতর্কিত হয়ে ইতিমধ্যে সত্যতার প্রমাণ মিলছে পরিষদের নালিশের বৈঠকে। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতার নামে রয়েছে নিজস্ব তেলেসমাতি।সাবেক বি এন পির চরম বিতর্কিত কর্মী আজকের হাইব্রিড নব্য আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান ইউ পি সদস্য। আর হ্যা বলছিলাম ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আল আমিন হাওলাদারের কথা। বিভিন্ন সময় নিজ ওয়ার্ডের কাজে কর্মে চরম বিতর্কিত বর্তমান মেম্বার আল আমিন হাওলাদার । আর একথা গুলো ভুক্তভোগী স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুব লীগ , ছাত্র লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ সকল ত্যাগী নেতাদের। অবশ্য সরে জমিনে ৯ নং ওয়ার্ডে কাটা দৈহারী যাওয়ার পর স্থানীয় বহু লোকজন লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন ত্রাণের বিষয়ে। যদিও এরিমধ্যে ত্রাণের কার্ড বিতরণে আল আমিন মেম্বর দারুণ পক্ষপাত মূলক আচরণ করে অটো বাইক শ্রমিকদের সাথে । অটো বাইক শ্রমিকরা স্থানীয় মেম্বরের রেশানলের স্বীকার হওয়ার শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেছে পরিষদের শালিসি বৈঠকে ।
এলাকার অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা প্রমাণ হওয়ার পর পরই স্থানীয় মেম্বার নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সরাসরি অটো বাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রুম্মান হাওলাদারের বিরুদ্ধে অপ প্রচারে লিপ্ত হয় । এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বহ নেতা সহ যুব লীগ ও ছাত্র লীগের বহ শীর্ষ নেতারা জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রুম্মান আমাদের দলের একজন পাকাপোক্ত শ্রমিক নেতা। অপর দিকে বর্তমান মেম্বার সাবেক বি এন পির ক্যাডার ছিলেন । তাছাড়া সাবেক দুলাল চেয়ারম্যানের আমলে ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন।বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন বলেন। আল আমিন মেম্বর বর্তমানে একজন হাইব্রিড নব আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে জাহির করে। সাবেক এম পির সময়ে কাটা ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়েছে বলে এলাকার কার্তিক মন্ডল, নিতাই মন্ডল, অচিন্ত বেপারী, মিনতি দাশ সহ বহ সংখ্যালঘুরা জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। তবে অবৈধ ভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির দুর্নাম করে চরম বিতর্কিত। সকল অপকর্মের ঘটনায় জন্ম দিয়ে ক্ষমতাশীন দলের ছত্র ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে পারপেয়ে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে।
এদিকে বয়স্ক ভাতা সহ যাবতীয় ভাতার নামে রয়েছে বহুত বহুত অভিযোগ। প্রতিবন্ধী কার্ডের নামের তালিকায়ও রয়েছে চরম অনিয়ম ।হত দরিদ্র পরিবারের ঘর দেওয়া নিয়েও রয়েছে বিতর্কের ছাপ। ত্রাণের পরে প্রতিবন্ধী ভাতা, ঘর দেওয়া সহ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার বিষয়ে সরেজমিনে কাটা দৈহারী এলাকায় গিয়ে আল আমিন মেম্বরের অনেক দূর্নীতির চিত্র ফুটে উঠে। টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ স্বজন প্রতি ও হট কারিতার সত্যতার সুস্পষ্ট প্রমান মিলে যায় স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে । সরকারি দলের নাম ব্যাবহার করে সাবেক বি এন পির বিতর্কিত কর্মী তোফাজ্জল কে ঘর দিয়ে চরম বিতর্কিত মেম্বার । অথচ সরকারি দলের বহু হত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বহু নিঃস্ব ঘর থাকা সত্বেও তাদের ঘর দেয়নি। বরং মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এজাতীয় অপকর্মে লিপ্ত ছিল আল আমিন মেম্বর । পাশাপাশি প্রবীণ ব্যাক্তি মোঃ হাবিবুর রহমানের (৬৩)মেয়ে প্রতিবন্ধী রেশমা কে কার্ড না দিয়ে চরম বিতর্কিত হাইব্রিড নব্য আওয়ামীলীগের বর্তমান মেম্বার মোঃ আল আমিন হাওলাদার। অথচ দৈহারীর সাবেক পিস কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা বিরোধী প্রয়াত মোঃ খালেকের পৈত্র ছেলে মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলেকে কার্ড দেয়। আর এখানেও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ বি এন পি পিরিত কাজ করে বলে এলাকার বহ লোকজন জানান। আর সেই কারণে বর্তমান মেম্বার মোঃ আল আমিন হাওলাদার চরম বিতর্কিত। অথছ বয়স্ক হাবিবের মেয়ে রেশমার পাওয়া ছিলো শতভাগ প্রাপ্য।
এছাড়াও কাটা দৈহারী ওয়ার্ডের মধ্যে অসহায় মানুষের চরম বিতর্কিতের নাম বর্তমান মেম্বার মোঃ আল আমিন হাওলাদার। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন মূলক কাজ কর্মে রয়েছে চরম অনিয়ম। সরকারি বাজেটে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও কাজ হয় নাম মাত্র। উন্নয়নের নামে হরিলুটের আশ্রয় নিয়ে চরম দূর্নীতির মেম্বার হিসাবে একটা বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। যত সামান্য অর্থ ব্যায় করে জোড়াতালি দিয়ে বিগত সময়ে কাজ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে।
সর্বপরি এলাকায় কেহ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে সাবেক বি এন পির ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অমানবিক নির্যাতন। এ ব্যাপারে গণ মাধ্যম কর্মীরা কথা বলার চেষ্টা করেন আল আমিন মেম্বরের সাথে। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় জানার পর বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান কৌশলে এলাকা থেকে।